কৃপা বিশ্বাস|নড়াইল
নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে পদপ্রার্থী নতুন মুখ এম এম সোহেল রানাকে
ঘিরেই সর্বত্র চলছে আলোচনা। ঘোষিত এবং অঘোষিত বিভিন্ন ধরনের সেবার মানসিকতা নিয়ে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান হিসেবে ইউনিয়নবাসীর সমর্থন এ যুবককে আরও উজ্জীবিত করবে বলে এলাকার বিজ্ঞজনেরা মন্তব্য করেছেন।

এ নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে কিছু প্রশ্নের মুখোমুখিতে সাংবাদিকদের জানান,আমি নির্বাচনে নবীন। তবে ইতিহাসে সাক্ষী আছে যে- নবীনরাই ইতিহাস সৃস্টি করে। আমি স্বপ্ন দেখেছি!ইউনিয়নবাসী সুযোগ দিলে অবশ্যই বাস্তবায়ন করবো এবং দেখিয়ে দেবো আমরা নবীনরাও পারি। বয়স মূল কথা নয়, কাজের ইচ্ছা শক্তি ও সঠিক পরিকল্পনাই মূল কথা। যদি সঠিক পরিকল্পনা সামনে রেখে নিবেদিত প্রাণে কাজ করা যায়, তবেই সম্ভব। জনগণ আমার পরিবার। জনগণের দোয়া ও ভালবাসাই আমার চলার পথ। তিনি আরো বলেন
বিছালী ইউনিয়নবাসীর কাঙ্খিত দাবী ইতিপূর্বে নির্বাচিত কোন চেয়ারম্যান পুরোপুরিভাবে পূরন করতে পারেননি। এতে জনগণের সাথে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দূরত্ব বেড়েছে। জনগণ ভাত-কাপড় চায় না। জনগণ সুখ-দুঃখে জনপ্রতিনিধিদের পাশে পেতে চান। প্রান্তিক জনগোষ্ঠির সাথে দীর্ঘদিনের পথচলা আমার। আমি সাধারণ নাগরিক থেকে বুঝতে পারেছি জনগণ কি চান। তাই আমি তাদের আশা-আকাঙ্খা পূরনের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হতে চাই।
তৃণমুল পর্যায়ের জনসাধারনের ক্ষুদ্র সেবক হয়ে দীর্ঘদিন যাবত দূর থেকে হলেও পাশে ছিলাম এবং আগামীতেও থাকবো। ইউনিয়নবাসী তথা জনগণ আমার পরিবার। তাদের সুখ-দুঃখ ঘিরে আমার রাজনীতির জীবন শুরু হবে। তাদের সাথে অনেক আগেই আমি মিডিয়ার আড়ালে নির্বাচন বিষয়ে কথাবার্তায় সমর্থন ও সানড়া নিয়ে এ নির্বাচনের মাঠে আসতেছি। আমি মনে করি এলাকার মেহনতি ও খেঁটে খাওয়া অসহায় মানুষগুলো আমার সাথে আছেন।
পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা করার পাশাপাশি, মাদক ও সন্ত্রাসের কুফল সর্ম্পকে প্রতিটি সভা-সমাবেশে আলোচনা করা হবে। আমি মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে জনগণকে ঐক্যবন্ধ থাকার আহবান জানাই। ইভটিজিং, সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা আপনার/আমার ভাই-বোন হতে পারে। তাই তাদের সাথে খারাপ আচারণ বা ঘৃনা না করে সুপথে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা হবে। পুরো বিছালী ইউনিয়ন হবে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত।